রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৭

আবেদন যাত্রা চিটফান্ডে গরিব আমানত কারিদের উচ্চ আদালতের পথে

চিটফান্ডকাণ্ডের কোটি কোটি চরম দুর্দশা গ্রস্ত গরিব এজেন্ট গরিব আমানত কারিরা আদালতের কাছে বিচার চাইবার পরিকল্পনা নিয়েছে। কয়েক কোটি প্রতারিত মানুষ মিছিল করার পর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে দরবার করবেন। এরজন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আগাম চিঠিও দিয়েছে , এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আবেদন যাত্রা’। 
চিটফান্ড সুরক্ষা মঞ্চের এই উদ্যোগে আগামী ২২ আগস্ট। পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের ১৯টি রাজ্য থেকে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে প্রতারিত লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ ওইদিন শহরে জড়ো হবেন। তাঁরা শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে দুটি বড় মিছিল করে এসে প্রথমে ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হবেন। তারপর সেখানে হবে জনসভা। সেই সভার শেষে চারজনের এক প্রতিনিধিদল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে’র কাছে গিয়ে কড়জোড়ে মিনতি করে বেঁচে থাকার বিচার চাইবেন। এজন্য প্রধান বিচারপতির কাছে সংগঠনের তরফে কিছুদিন আগে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে না জানলেও হাইকোর্ট সূত্রে উদ্যোক্তারা খবর পেয়েছেন, এত মানুষের সমস্যার কথা বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি হয়তো তাঁদের মুখোমুখি সাক্ষাতের জন্য কিছুক্ষণ সময় দিতে পারেন। তবে পুলিশের কথা ভেবে উদ্যোক্তারা এই কর্মসূচি নিয়ে এখনই শোরগোল তুলতে চায় না। কলকাতা পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচি নিয়ে বেঁকে বসবে কি না, তা এখনও টের পাননি তাঁরা। প্রতারিতদের গচ্ছিত অর্থ ফেরতের উপায় নিয়ে এক অভিনব প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব কার্যকর করার ক্ষমতা একমাত্র আদালতেরই আছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। এজন্য তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যের ভুক্তভোগী মানুষকে জড়ো করে কার্যত প্রধান বিচারপতির বিবেচনা প্রার্থনা করবেন। দরবারের সময় তাঁর সবুজ সংকেত পেলে পরবর্তীকালে সংগঠনের তরফে আদালতে আবেদন জানাবেন তাঁরা। প্রস্তাবটি হল, দেশের যে সব চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের এজেন্সিগুলি বছরের পর বছর ধরে তদন্ত চালাচ্ছে, তাদের বাজেয়াপ্ত হওয়া যাবতীয় সম্পত্তি হাইকোর্টের অভিভাবকত্বে ৭০ শতাংশ কেন্দ্র ও ৩০ শতাংশ রাজ্য সরকার চলতি বাজারদরে কিনে নিক। এই অর্থ হাইকোর্টের কাছে জমা দেওয়ার পর তা উচ্চ আদালতে নিযুক্ত কমিটির মাধ্যমে আমানতকারীদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তদন্ত বা বিচার চলার পাশাপাশি এই টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করুক—প্রধান বিচারপতির কাছে এমনটাই আরজি জানাতে চান উদ্যোক্তারা। এই দাবির পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত তিনদিন চিটফান্ড মামলাগুলির শুনানি এবং এই প্রতারণার কারণে হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ১৬৩ জন আমানতকারী ও এজেন্টের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের আবেদনও তাঁরা জানাতে চান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। 
কেন তাঁরা এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিলেন, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুরক্ষা মঞ্চের সম্পাদক সুবীর দে বলেন, মামলার দীর্ঘ সময়ের কারনে গোটা দেশে এই বিশাল কেলেঙ্কারিতে ভুক্তভোগী কোটি কোটি মানুষ। তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। সেই কারণেই সেদিন রোজভ্যালি কোম্পানির হোটেল ভাঙচুর হয়েছে। আমরা এই ধরনের আইন হাতে তুলে নেওয়ার পক্ষপাতী নই। কিন্তু আইনের মাধ্যমে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ সুরাহা পান, সেজন্য কেন্দ্র বা রাজ্যের সরকারগুলি সেভাবে আগ্রহী নয় বলেই আমাদের মনে হয়েছে। তাই আমাদের একমাত্র ভরসার জায়গা আদালত। বিচার ব্যবস্থাই একমাত্র পারে এই সমস্যার সমাধান করতে। সর্বোপরি, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি বিক্রি করতে গিয়ে কোর্ট নিযুক্ত কমিশনও উপযুক্ত দাম পাচ্ছে না বলে শুনছি। এই সব বিষয়গুলি মাথায় রেখেই আমরা প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হতে চাইছে ।
এই ফ্রমের চিত্র গুলো প্রিন্ট আউট করতে পারেন ।

এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক হবে আপনাদের মত কি  ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রোজভ্যালি চিটফান্ড কোম্পানির টাকা ফেরতের অর্ডার কপি ২০২৩ সারা ভারতবর্ষের জন্য

রোজভ্যালি চিটফান্ড কোম্পানির টাকা ফেরতের অর্ডার কপি ২০২৩ সারা ভারতবর্ষের জন্য  আমানতকারীদের জন্য যে শেষ অর্ডারটা হয়েছে এবং এই এডিসি ডিসপোজা...

A