বুধবার, ৩ মে, ২০১৭

বাহুবলী যে ফিল্ম টি তৈরি হয়েছে সেই মহেশমতি আজও আছে কোথায় অবস্থিত পড়ুন,

বাহুবলী ছবি তে যে মহেশমতি রাজ্যের নাম বলা হয় ,ওখানকার হেহয় বংশের রাজারা বাস করতেন ।
চেদি জনপদ রাজধানী মহেশমতি , এইটা ছিল নর্মদার তটে ইন্দোর জেলার মধ্যপ্রদেশে মহেশ্বর নামক জায়গায়
পশ্চিম রেলওয়ে খন্ড মার্গ বড়বাহা ষ্টেশন থেকে 35 36 মাইল দূরে অবস্থিত
এই মহেশমতি রাজ্য ছিল ।
মহাভারতের সময় এখানে রাজা নিলের রাজ্য ছিল যাকে সহদেব যুদ্ধ করে হারিয়েছে ।
রাজা নিল মহাভারতে যুদ্ধের সময় কৌরবদের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন,
এবং মারা যায় ,
বৌদ্ধ সাহিত্যে মহেশমতি দক্ষিন অবন্তী জনপদ মুখ্য নগর বলা আছে ।
বুদ্ধ কালে এই নগরি বিশ্বে নামডাক ছিল বানিজ্য কেন্দ্র হিসাবে ।
পরবতীর্কালে ওজ্জয়নির প্রতিষ্ঠা বাড়ার সাথে সাথে , এই মহেশমতির গৌরব কম হতে থাকে ।
গুপ্ত কালে পঞ্চ বিংশতি পর্যন্ত মহেশমতির উল্লিখিত ছিল, কালিদাস রঘুবংশ তে ইন্দুমতীর স্বয়ঁবর সভার প্রসঙ্গে নর্মদা তটে স্থিত তটে মহেশমতির বর্ননা আছে ।
এখানকার রাজা প্রতিপ বলা আছে ।
কালিদাসের লেখায় মহেশমতি নরেশ
কে অনুপরাজ ও বলেছে , এই সময় মহেশমতি প্রদেশ নর্মদা নদীর তটের নিকট হওয়ার জন্য অনুপ বলা হতো ।
পৌরাণিক বইতে মহেশমতি হেহয় বংশের কার্ত্ব বির্য অর্জুন অথবা সহস্র বায়ুর রাজধানী বলা আছে ।
কিংবদন্তি হয়ে আছে এই রাজা সহস্র হাতে নর্মদার জল আটকে দিয়ে ছিল ।
মহেশ্বরে ইন্দরের মহারানি অহিল্যাবাই
নর্মদার উত্তরে তটে অনেক ঘাট তৈরি করে ছিল ।
যা আজও বর্তমানে আছে ।
এই ধর্ম প্রান রানি 1767 সময় ইন্দর ছেড়ে এই পবিত্র জায়গায় বসবাস করছিলেন ।
নর্মদার তটে অহিল্যাবাই তথা হোলকর
বংশের নরেশের অনেক ক্ষত্রিয় হয়ে ছিল।
ভূতপূর্ব ইন্দর রাজধানীর অন্তরগত আধ রাজধানী এখানেই ছিল ।
এক পৌরাণিকে কথিত আছে মহেশমতি কে তৈরি করে ছিল এক মহিশমান নামক চন্দ্রবংশি নরেশ ছিল সহস্র বায়ু এর বংশধর, মহেশ্বরি নদী যা মহেশমতি বা মহিশমান নামে প্রসিদ্ধ ছিল ।
মহেশ্বর থেকে কিছু দুরে নর্মদার সঙ্গে মিলিত হয়ে ছিল ।
হরিবংশ পুরানে টিকাতে নিলকন্ঠ'
মহেশমতির অবস্থান বিংশ আর প্রুখ্স
পর্বতির মাঝখানে বিংপর উত্তরে আর প্রুখ্সের দক্ষিনে বলা আছে ।

মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রি তে তালগোল পাকাচ্ছে সব ।সবাই চিন্তায় পড়েছে ।
বাহুবলীর জয়জয়কার দেখে ।

বলিউড কোনও সময় যোগ্য ব্যাক্তি
কে ভালো কাজ করার দায়িত্ব ই দেয়নি,
বলিউডে দাউদের মত মুসলিমের রাজ চলার জন্য সব ফিল্মেই অকারন মুসলিম পাত্র ঢুকে গেছে জোর করে , নায়ক নায়িকা হিন্দু হওয়া সত্বেও গান গুলো তে আল্লা আল্লা গান গাইতে হয় , ইচ্ছে না থাকলে ও ।
সমস্ত সেনামাতে মুসলিম সভ্যতা কে মহান দেখানো হয় ।আর মুসলিম পাত্র কে বিরত্বে ভরা দেখানো হয় ।কেননা বলিউড মুসলিম সাম্রাজ্য পর দাঁড়িয়ে আছে ।কিন্তু ওদের পাপের ঘড়া পরিপূর্ণ হয়ে গেছে । সামনে ওদের বাপ বাহুবলী দাঁড়িয়ে আছে ।
বাহুবলী এমন এক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে যা ভারত বর্ষের ক্ষত্রিয় দের বিরতা ভারতের গৌরবের কথা হিন্দুত্বের কথা মাতৃভূমির কথা তুলে ধরা হয়েছে ।
যা আমরা ইতিহাসের পাতায় পড়ে এসেছি, বাহুবলী প্রমাণ করে দিয়েছে যে ভারতীয় নিজস্ ক্ষত্রিয় হিন্দু দের কাহিনী নিয়ে ফিল্ম তৈরি হলে তা ভারতীয় রা কত আগ্রহের সহিত দেখে ,
বাহুবলীর মতো ফিল্ম আরও আরও বেশি করে তৈরি হোক আমি তিরঞ্জন খাটুয়া চাই,
            আর আপনারা কি চান  ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রোজভ্যালি চিটফান্ড কোম্পানির টাকা ফেরতের অর্ডার কপি ২০২৩ সারা ভারতবর্ষের জন্য

রোজভ্যালি চিটফান্ড কোম্পানির টাকা ফেরতের অর্ডার কপি ২০২৩ সারা ভারতবর্ষের জন্য  আমানতকারীদের জন্য যে শেষ অর্ডারটা হয়েছে এবং এই এডিসি ডিসপোজা...

A